Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped
বিদ্যুৎ জাতীয় সম্পদ, আসুন বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করি। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ রাখি, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি, ঘরে বসেই বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার অপূর্ব সুযোগ গ্রহণ করি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করি, দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ভবন গড়ি, সবুজ ভুবন তৈরি করি।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ইতিহাস ও পটভূমি

উন্নয়নের জন্য সর্বাগ্রে যে উপাদানটি প্রয়োজন তা হলো বিদ্যুৎ শক্তি। গ্রামকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। এই উপলদ্ধি থেকে গ্রাম ও শহরের ব্যবধান দূরীকরণের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে রচিত মহান সংবিধানের ১৬নং অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে বিদ্যুতায়নসহ গ্রামাঞ্চলের আমূল রুপান্তর সাধনের জন্য অঙ্গীকার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে জারিকৃত অধ্যাদেশ বলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বি আর ই বি) পর্যায়ক্রমে দেশে বিদ্যুতায়নের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমের আওতায় দেশে প্রথম ১৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পিবিএস) গঠন করে। তম্মধ্যে নাটোর পিবিএস-২ (তৎকালীন রাজশাহী পিবিএস-২) অন্যতম।

০৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাংগঠনিক দল বনপাড়া বাজারে ডা. আয়নাল হক এর বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে সমিতি গঠন কার্যক্রম শুরু করে।                                                                 

প্রথম পর্যায়ে ৪টি থানার (নাটোর মহকুমার গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর এবং রাজশাহীর চারঘাট) ৩৫টি ইউনিয়নকে ১১টি এলাকায় বিভক্ত করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর ১৯৭৯ বনপাড়াস্থ টিটিডিসি মিলনায়তনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার সবিহ উদ্দীন আহম্মদ অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাছাইকৃত ১১জন এলাকা পরিচালক ও ৩ জন মহিলা উপদেষ্টাকে মনোনয়ন ঘোষনা করেন। অতঃপর একই দিনে সমিতি বোর্ডের নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। উপবিধি মোতাবেক সমিতি বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারী ১৯৮০ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করায় নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ আইনগত স্বীকৃতি লাভ করে।

সূচনা লগ্নে মাত্র একজন জেনারেল ম্যানেজার ও একজন সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এবং পরবর্তীতে ১৮জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ২১ জানুয়ারী হতে ৩০ এপ্রিল ১৯৮০ সমিতি সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলে। ১৭ মার্চ ১৯৮০ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে সমিতির ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ০৭ এপ্রিল ১৯৮০ অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বর্তমান সদর দপ্তরে অফিস স্থানান্তরিত হয়। ১২ ডিসেম্বর ১৯৮১ পরীক্ষামূলক বিদ্যুতায়ন সহ বাণিজ্যিক বিতরণের কাজ শুরু হয়। ০৩ জুন ১৯৮২ আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে সমিতি অগ্রযাত্রা শুরু করে। সরকারী এই কার্যক্রমে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিরন্তন সহযোগীতায় ৪২ বছরের অধিক সময় যাবৎ সমিতি এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণীর ৪ লক্ষ ০৬ হাজার ২৪ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্ত হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে প্রসার ঘটেছে  সেচ, শিল্প, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের। পরিবর্তন ঘটেছে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানে। নিস্তব্ধ গ্রামীণ জনপদ এখন কর্মচাঞ্চল্যে মুখর। বিদ্যুতায়নের ফলে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোগ ঘটিয়ে এলাকার মানুষ সুফল ভোগ করছেন বিশ্বায়নের সুবিধা।